মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের মধ্যে হাইব্রিড গাড়ি আনতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক ও ডিলার সমিতি (বারভিডা)।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক।
তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় গত কয়েক বছরে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানি ও বিক্রয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে হাইব্রিড গাড়ির সিলিন্ডার ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে ২০ থেকে ৩৫০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। তবে বারভিডা শুল্ক কত শতাংশ কমানো উচিত, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো হার প্রস্তাব করেনি।
সংগঠনটি মাইক্রোবাস আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারেরও সুপারিশ করেছে। বর্তমানে ১৮০১ সিসির বেশি মাইক্রোবাস আমদানিতে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জীবন রক্ষাকারী বাহন অ্যাম্বুলেন্স আমদানির সময়ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়, যা বারভিডা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এছাড়া দেশে ইলেকট্রিক, হাইব্রিড, প্ল্যাগ-ইন হাইব্রিড এবং হাইড্রোজেনচালিত গাড়ির আমদানি ও ব্যবহারে একটি সুসংগঠিত ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
পাশাপাশি, নতুন ও পুরোনো গাড়ির শুল্কায়ন এবং নিবন্ধন ফিতে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছে বারভিডা।
সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সিসিভিত্তিক পদ্ধতিতে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির নিবন্ধন ফি নতুন গাড়ির তুলনায় ২৭ হাজার ৫০৮ টাকা থেকে ৫৩ হাজার ৯৫৮ টাকা পর্যন্ত বেশি।
বারভিডার নেতারা আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন বাজেটে এসব সুপারিশ বিবেচনায় নিলে সাধারণ মানুষের জন্য গাড়ি কেনা সহজ হবে এবং বাজারে নতুন করে গতিশীলতা আসবে।